চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ধলিবিলা গ্রামে প্রতিমায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। এতে মন্দির-সংলগ্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩৫টি পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গত সোমবার গভীর রাতে সার্বজনীন হরিমন্দিরে প্রতিমায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় মন্দিরের পার্শ্ববর্তী একটি পোলট্রি খামার ও খড়ের গাদায়ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারা দিবা ও সহকারী পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) রবিউল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে লোহাগাড়া হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মন্দির কমিটির সভাপতিকে প্রতিমা সংস্কারের জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সমীরন দত্ত বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন। আসামিরা হলেন মো. আলমগীর, মো. ফয়সাল ও সিরাজুল ইসলাম। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা বাদীসহ সংখ্যালঘু ৩৫ পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ ব্যাপারে আবারও জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ওই গ্রামের বাসিন্দা সুধীর চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘আসামিরা কয়েক দিন ধরে আমাদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।’ অগ্নিসংযোগের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাজালাল জানান, স্থানীয় সুমন দাশের সঙ্গে আসামিদের আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে প্রতিমাসহ অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ এরই মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করলেও তারা জামিনে ছাড়া পায়।
প্রথম আলো, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৩-২০১২
প্রথম আলো, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৪-০৩-২০১২
No comments:
Post a Comment